বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) দেশের সবচেয়ে প্রতিযোগিতামূলক টি-২০ ক্রিকেট লিগগুলির মধ্যে একটি। এই লিগে দর্শকরা শুধু বিস্ময়কর ব্যাটিং পারফরম্যান্সই দেখেন না, বরং খেলোয়াড়দের ক্ষণস্থায়ী সংগ্রামও দেখতে পান। টি-২০ ক্রিকেটে ব্যাটারদের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জগুলির মধ্যে একটি হলো “ডাক” – অর্থাৎ কোনো রান না করে আউট হওয়া। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বিপিএলে অনেক খ্যাতিমান ক্রিকেটাররা একাধিকবার শূন্যে আউট হয়েছেন। এই নিবন্ধে আমরা বিপিএলের ইতিহাসে Most Ducks in BPL History থাকা শীর্ষ ১০ খেলোয়াড়ের বিস্তারিত আলোচনা করব, তাদের রান, স্ট্রাইক রেট এবং ম্যাচের পারফরম্যান্সসহ।
১০ জনের তালিকা বিপিএলের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি হাঁস মারা খেলোয়াড়রা
১০. সাব্বির রহমান

সাব্বির রহমান একজন আক্রমণাত্মক ব্যাটার হিসেবে পরিচিত। ২০১২ সাল থেকে বিপিএলে অংশগ্রহণ করার পরও, তিনি ১০৫ ম্যাচে ৯ বার ডাক পেয়েছেন, যা তাকে Most Ducks in BPL History তালিকায় রাখে। সাব্বির ১,৯২৯ রান সংগ্রহ করেছেন এবং স্ট্রাইক রেট ১২২.০১। তার আক্রমণাত্মক ব্যাটিং অনেক সময় তার দ্রুত আউট হওয়ার কারণ হলেও, বড় ইনিংসও এনে দেয়। সাব্বিরের কেরিয়ার প্রমাণ করে যে, টি-২০ ক্রিকেটে ডাক থাকা মানে খেলোয়াড়ের গুরুত্ব কমে না Most Ducks in BPL History।
সময়কাল | ম্যাচ | রান | স্ট্রাইক রেট | ডাকস |
---|---|---|---|---|
২০১২-২০২৫ | ১০৫ | ১৯২৯ | ১২২.০১ | ৯ |
৯. মেহেদী হাসান মিরাজ

মেহেদী হাসান মিরাজ একজন অলরাউন্ডার হলেও ১০৪ ম্যাচে ৯ বার ডাক পেয়েছেন। এটি তাকে Most Ducks in BPL History তালিকায় রাখে। তবে তিনি ১,৫১১ রান সংগ্রহ করেছেন এবং স্ট্রাইক রেট ১২৪.২৫। মেহেদী আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করলে অনেক সময় শূন্যে আউট হন, তবে তিনি দলকে গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে সুবিধা দিতে পারেন।
সময়কাল | ম্যাচ | রান | স্ট্রাইক রেট | ডাকস |
---|---|---|---|---|
২০১৬-২০২৫ | ১০৪ | ১৫১১ | ১২৪.২৫ | ৯ |
READ MORE: Top 10 Players with Most Fifties in BPL History
৮. এনএলটিসি পেরেরা

এনএলটিসি পেরেরা বিপিএলে আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেছেন। ৮৮ ম্যাচে ৯ বার ডাক পেয়েছেন, যা তাকে Most Ducks in BPL History তালিকায় রাখে। তিনি ১,২৩৪ রান সংগ্রহ করেছেন এবং স্ট্রাইক রেট ১৫২.৯৮। তার আক্রমণাত্মক স্টাইলের কারণে মাঝে মাঝে তিনি দ্রুত আউট হন, তবে গুরুত্বপূর্ণ ইনিংসও তুলে ধরতে পারেন।
সময়কাল | ম্যাচ | রান | স্ট্রাইক রেট | ডাকস |
---|---|---|---|---|
২০১৫-২০২৫ | ৮৮ | ১২৩০ | ১৫২.৯৮ | ৯ |
৭. আবু হিদার

আবু হিদার মূলত একজন বোলার হলেও তিনি ব্যাটিংয়ে অবদান রেখেছেন। ৭৩ ম্যাচে ৯ বার ডাক পেয়েছেন, যা তাকে Most Ducks in BPL History তালিকায় রাখে। তিনি ২৩৩ রান সংগ্রহ করেছেন এবং স্ট্রাইক রেট ১১৬.৫০। এটি দেখায় যে নিম্নক্রমের ব্যাটারদের জন্য টি-২০ ক্রিকেট কতটা চ্যালেঞ্জিং।
সময়কাল | ম্যাচ | রান | স্ট্রাইক রেট | ডাকস |
---|---|---|---|---|
২০১৫-২০২৫ | ৭৩ | ২৩৩ | ১১৬.৫০ | ৯ |
৬. লিটন দাস

লিটন দাস বাংলাদেশের একজন দক্ষ ব্যাটার। তিনি ১০৬ ম্যাচে ১০ বার ডাক পেয়েছেন, যা তাকে Most Ducks in BPL History তালিকায় রাখে। তিনি ২,৪৪৩ রান সংগ্রহ করেছেন এবং স্ট্রাইক রেট ১২৯.৮০। তার আক্রমণাত্মক ব্যাটিং মাঝে মাঝে তাকে দ্রুত আউট করলেও, গুরুত্বপূর্ণ ইনিংসও আনে।
সময়কাল | ম্যাচ | রান | স্ট্রাইক রেট | ডাকস |
---|---|---|---|---|
২০১৩-২০২৫ | ১০৬ | ২৪৪৩ | ১২৯.৮০ | ১০ |
৫. রনি তালুকদার

রনি তালুকদার ৮৪ ম্যাচে ১০ বার ডাক পেয়েছেন। এটি তাকে Most Ducks in BPL History তালিকায় রাখে। তিনি ১,৬০৯ রান সংগ্রহ করেছেন এবং স্ট্রাইক রেট ১২২.৭৩। তার ব্যাটিং আক্রমণাত্মক হলেও মাঝে মাঝে তিনি শূন্যে আউট হন, তবে গুরুত্বপূর্ণ ইনিংসও তৈরি করতে পারেন।
সময়কাল | ম্যাচ | রান | স্ট্রাইক রেট | ডাকস |
---|---|---|---|---|
২০১৫-২০২৫ | ৮৪ | ১৬০৯ | ১২২.৭৩ | ১০ |
৪. ইমরুল কায়েস

ইমরুল কায়েস ১১৫ ম্যাচে ১১ বার ডাক পেয়েছেন। এটি তাকে Most Ducks in BPL History তালিকায় রাখে। তিনি ২,৩৬৪ রান সংগ্রহ করেছেন এবং স্ট্রাইক রেট ১১৭.৬৭। টি-২০ ক্রিকেটে আক্রমণাত্মক খেলা মাঝে মাঝে তাকে শূন্যে আউট করে, তবে গুরুত্বপূর্ণ ইনিংসও দিতে সক্ষম।
সময়কাল | ম্যাচ | রান | স্ট্রাইক রেট | ডাকস |
---|---|---|---|---|
২০১২-২০২৫ | ১১৫ | ২৩৬৪ | ১১৭.৬৭ | ১১ |
৩. মাশরাফে মোস্তাফা

মাশরাফে মোস্তাফা একজন কিংবদন্তি বোলার। ১১০ ম্যাচে ১১ বার ডাক পেয়েছেন, যা তাকে Most Ducks in BPL History তালিকায় রাখে। তিনি ৬০২ রান সংগ্রহ করেছেন এবং স্ট্রাইক রেট ১২৫.৪১। তিনি প্রয়োজনের সময় গুরুত্বপূর্ণ রান দিতে সক্ষম।
সময়কাল | ম্যাচ | রান | স্ট্রাইক রেট | ডাকস |
---|---|---|---|---|
২০১২-২০২৪ | ১১০ | ৬০২ | ১২৫.৪১ | ১১ |
READ MORE: Top 10 BPL Players With the Highest Strike Rates
২. সৌম্য সরকার

সৌম্য সরকার ১০৩ ম্যাচে ১২ বার ডাক পেয়েছেন। এটি তাকে Most Ducks in BPL History তালিকায় রাখে। তিনি ১,৬৪১ রান সংগ্রহ করেছেন এবং স্ট্রাইক রেট ১১৪.২৭। তার আক্রমণাত্মক ব্যাটিং প্রায়শই তাকে শূন্যে আউট করলেও গুরুত্বপূর্ণ ইনিংসও প্রদান করে।
সময়কাল | ম্যাচ | রান | স্ট্রাইক রেট | ডাকস |
---|---|---|---|---|
২০১২-২০২৫ | ১০৩ | ১৬৪১ | ১১৪.২৭ | ১২ |
১. আনামুল হক

আনামুল হক বিপিএলের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি ডাক পেয়েছেন – ১৩১ ম্যাচে ১৫ বার। এটি তাকে Most Ducks in BPL History তালিকার শীর্ষে রাখে। তিনি ২,৭৭৬ রান সংগ্রহ করেছেন এবং স্ট্রাইক রেট ১১৯.৬৫। আনামুলের আক্রমণাত্মক ব্যাটিং মাঝে মাঝে শূন্যে আউট করলেও, তিনি দলকে ম্যাচ জিততে সাহায্য করেছেন।
সময়কাল | ম্যাচ | রান | স্ট্রাইক রেট | ডাকস |
---|---|---|---|---|
২০১২-২০২৫ | ১৩১ | ২৭৭৬ | ১১৯.৬৫ | ১৫ |
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে দর্শকরা উচ্ছ্বাসজনক মুহূর্তের সাক্ষী হন। তবে এই খেলায় ডাক থাকা একটি সাধারণ ঘটনা। বিপিএলের ইতিহাসে Most Ducks in BPL History থাকা খেলোয়াড়রা বারবার শূন্যে আউট হয়েছেন, তবুও তারা গুরুত্বপূর্ণ রান ও উচ্চ স্ট্রাইক রেট সহ দলের জন্য অবদান রেখেছেন। সাব্বির রহমান থেকে আনামুল হক পর্যন্ত, এই খেলোয়াড়রা দেখিয়েছেন যে টি-২০ ক্রিকেটে ঝুঁকি ও পুরস্কার একসাথে থাকে। frequent ducks থাকা সত্ত্বেও, তাদের অবদান বিপিএলের ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে থাকে।
প্রশ্ন ১: টি-২০ ক্রিকেটে “ডাক” কী?
উত্তর: “ডাক” বলতে বোঝায় যে একজন ব্যাটার কোনো রান না করে আউট হয়েছে। এটি একটি সাধারণ কিন্তু হতাশাজনক ঘটনা, বিশেষত দ্রুত খেলার টি-২০ ফরম্যাটে। বিপিএলে অনেক খেলোয়াড়ের ক্যারিয়ারের সময় একাধিকবার ডাক পাওয়া যায়, যা তাদের খেলায় ঝুঁকিপূর্ণ ব্যাটিং স্টাইলকে নির্দেশ করে।
প্রশ্ন ২: Most Ducks in BPL History থাকা খেলোয়াড়দের জন্য কী মানে?
উত্তর: এটি বোঝায় যে এই খেলোয়াড়রা বিপিএলের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক বার শূন্যে আউট হয়েছেন। যদিও এটি ব্যাটিংয়ে কখনও কখনও ব্যর্থতার চিহ্ন, তবে তারা এখনও দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ রান এবং স্ট্রাইক রেট প্রদান করতে সক্ষম।
প্রশ্ন ৩: frequent ducks থাকা সত্ত্বেও খেলোয়াড়দের অবদান কেমন থাকে?
উত্তর: টি-২০ ক্রিকেটে আক্রমণাত্মক ব্যাটিং অনেক সময় দ্রুত আউট হওয়ার কারণ হতে পারে। তবুও, Most Ducks in BPL History থাকা খেলোয়াড়রা প্রায়শই গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে রান সংগ্রহ করেন এবং দলের জয় নিশ্চিত করতে সহায়তা করেন। যেমন আনামুল হক এবং লিটন দাস প্রমাণ করেছেন যে frequent ducks থাকা সত্ত্বেও তাদের অবদান অপরিসীম।
প্রশ্ন ৪: কেন টি-২০ ক্রিকেটে frequent ducks সাধারণ ঘটনা?
উত্তর: টি-২০ ক্রিকেটে ব্যাটাররা সীমিত ওভারের মধ্যে দ্রুত রান করতে চেষ্টা করেন। আক্রমণাত্মক ব্যাটিং এবং ঝুঁকিপূর্ণ শটের কারণে শূন্যে আউট হওয়া স্বাভাবিক। বিপিএলের ইতিহাস দেখায় যে অনেক খ্যাতিমান খেলোয়াড়ও মাঝে মাঝে frequent ducks-এর শিকার হন।